মন্টেক্যালি। শ্বেত শুভ্র ছোট্ট একটি পাহাড়। জার্মানিতে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় একটি স্থান। তবে আর দশটা পাহাড় থেকে এটি একটু ভিন্ন। কারণ পাহাড় কাটলে সাধারণত মাটি বা পাথর পাওয়া যায়। কিন্তু এই পাহাড়টি কাটলে মাটির বদলে মিলবে লবণ। অপূর্ব সুন্দর লবণের পাহাড়। জার্মানির পূর্বাঞ্চলীয় হিস শহরের কাছেই এই লবণ পাহাড়ের অবস্থান। ধবধবে সাদা রঙয়ের এই পাহাড়টি কিন্তু প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়নি। মন্টেক্যালি আসলে পটাশিয়ামের খনি থেকে বর্জ্য হিসেবে জমা হওয়া সোডিয়াম ক্লোরাইড বা লবণের স্তুপ। তাই অনেকেই এটিকে লবণের পাহাড় বলে থাকেন।
প্রায় একশ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে জার্মানির এই অঞ্চলটি পটশিয়াম সমৃদ্ধ। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পটাশিয়ামের খনিটিও এখানে অবস্থিত। ফলে দশকের পর দশক ধরে এখানে পটাশিয়াম উত্তোলনের ফলে যে সোডিয়াম ক্লোরাইড জমা হয়েছে তা থেকেই এই লবণ পাহাড়ের উৎপত্তি। দর্শনার্থীদের লবণের পাহাড় দর্শন ৯৩ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত এই পাহাড়টির উচ্চতা প্রায় দুইশত মিটার। ধারণা করা হয় পাহাড়টিতে প্রায় একশত আটাশি মিলিয়ন টন লবণ জমা রয়েছে এবং প্রতি বছর আরও সাড়ে ছয় মিলিয়ন টন লবণ জমা হচ্ছে।
তবে পাহাড়টি পর্যটকদের কাছে যতটা দর্শণীয় পরিবেশের জন্য ততটা ক্ষতিকর। কারণ পাহাড়ে জমে থাকা লবণ গলে নানাভাবে মাটিতে মিশে যাচ্ছে যা তীব্র মাটি দূষণের জন্য দায়ী। এছাড়া কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক গাছ ছাড়া আশপাশের এলাকাতে কোনো ধরনের গাছ জন্মাতে পারেনা। তাছাড়া এটি নিকটবর্তী উইরা নদীর পানি দূষণের জন্যও দায়ী।