রেলওয়ের ইতিহাসে এক অনন্য সংযোজন

ট্রাভেলগবিডি ডেস্ক

কোনো প্রকার ভূমিকা ছাড়াই বলা যায় ফোর্থ ব্রিজ রেলওয়ের ইতিহাসে এক অনন্য সংযোজন। ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার পর রেলওয়ের জন্য সবচেয়ে বড় বাধা ছিল নদ-নদী। ট্রেনে পণ্য ও যাত্রী পরিবহণ নিরবচ্ছিন্ন ও বিড়ম্বনাহীন করতে রেল সেতু আবশ্যক হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু দৈত্যাকার একটি ট্রেন কিভাবে সহজে নদী পার করিয়ে নেয়া যায় সেই উত্তর দিয়েছে স্কটল্যান্ডের ফোর্থ ব্রিজ।  ফোর্থ ব্রিজের আগেও রেল সেতু ছিল। কিন্তু তাতে ছিল নিরাপত্তা ঝুঁকি। ফোর্থ ব্রিজ তৈরি হওয়ার পর সেই ঝুঁকি দূর হয়। দূরদূরান্তে পণ্য পরিবহণে শুরু হয় এক নতুন অধ্যায়। ফোর্থ ব্রিজ রেলওয়ের ইতিহাসে এক অনন্য সংযোজন।

স্কটল্যান্ডের ফোর্থ নদীর মোহনায় অবস্থিত সেতুটি উদ্বোধন করা ১৮৯০ সালে। সেই থেকে ১২৫ বছর সেতুটির ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। ব্রিটেন, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং আয়ারল্যান্ডের মধ্যে ট্রেন যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে ফোর্থ ব্রিজ। বিবিসির তথ্যানুযায়ী ব্রিজটি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে ৫৩ হাজার টন স্টিল। প্রধান দুটি স্তম্ভের ওপর দন্ডায়মান সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ২ হাজার ৫২৯ মিটার ( (দেড় মাইল)। স্তম্ভের উপরিভাগ ১২০ ফুট চওড়া এবং মাঝ বরাবর চওড়া ৩২ ফুট। সর্বাধিক লম্বা দুটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৭০০ ফুট।

নদীর পানি থেকে ব্রিজটি ৩১৭ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। দুটি ট্রেন একই সময়ে চলাচল করতে পারে অর্থাৎ দুটি লাইন রয়েছে সেতুতে। প্রতিদিন ১৯০ থেকে ২০০টি ট্রেন চলাচল করে এই সেতু দিয়ে।  ফোর্থ ব্রিজ স্কটল্যান্ডের ষষ্ঠ বিশ্ব ঐতিহ্য। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সেতুটির রং লাল। সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণ কর্তৃপক্ষ ফোর্থ ব্রিজ ফোরাম কয়েক বছর পরপর নতুন করে রং টানার ব্যবস্থা করে। ফোর্থ ব্রিজ স্কটল্যান্ডের ষষ্ঠ বিশ্ব ঐতিহ্য । এডিনবার্গে গেলে ফোর্থ ব্রিজ দেখতে ভুলবেননা যেন। কারণ, ফোর্থ ব্রিজের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ঐতিহ্যবাহী নগরী এডিন বার্গের শতাব্দী প্রাচীন ইতিহাস।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

আমাদের সাবস্ক্রাইব করুন
Please log in to share your opinion

Related Posts

আমাদের সাবস্ক্রাইব করুন