শাহীদুল ইসলাম
বাড়ির চারপাশে গাছের ডালে বা ঝোঁপের ভেতর আমরা যে ধরনের পাখির বাসা দেখি সেগুলো নান্দনিক হলেও সেখানে বিত্ত- বৈভবের চিহ্ন থাকেনা। অতিকষ্টে পরম যত্নে বানানো এসব বাসায় পাখিরা রোদ-বৃষ্টি-ঝড় উপেক্ষা করে বাস করে। কিন্তু যদি কোনো পাখির বাসা হয় বিলাসবহুল পাঁচ তারকা হোটেলের আদলে গড়া তবে তা মানুষকে অবাক করার জন্য যথেষ্ট। এমন কিছু বিলাসবহুল পাখির বাসার সন্ধান পাওয়া যায় কেনিয়ার লাইকিপিয়া মালভূমিতে।
তবে দেখতে পাখির বাসা হলেও এটি আসলে মানুষের বাসা। অর্থাৎ পাঁচ তারকা হোটেলের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা সংবলিত পাখির বাসার আদলে এই হোটেল বানানো হয়েছে পর্যটকদের রাত কাটানোর জন্য। একেবারে স্থানীয় পর্যায়ে প্রাপ্ত গাছের ডাল ও কৃষি উপকরণ দিয়ে এই বাসা এমনভাবে বানানো হয়েছে যেন সাফারি পার্কে ভ্রমণরত পর্যটকেরা পাখির মতো করে উঁচুতে বসে চার পাশের হাতি, জিরাফ এবং অন্যান্য পশু পাখির বিচরণ দেখতে পারেন।
চার সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের থাকার জন্য বাসাগুলোতে রয়েছে লাগোয়া বাথরুম, গরম বা ঠান্ডা জলের সুবিধা, সৌর বিদ্যুৎ, শ্যাম্পেইনসহ পর্যটকদের পছন্দসই নানা পদের খাবারের ব্যবস্থা। তবে বিলাস বহুল এই পাখির বাসায় রাত কাটাতে গেলে আপনাকে মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হবে। প্রতি রাতের জন্য একেকটি বাসায় থাকতে আপনাকে গুনতে হবে আটশত বাহাত্তর পাউন্ড যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় পঁচানব্বই হাজার টাকা। সময় কাটাতে অনেকেই ভিড় করেন পাখির বাসায়।