দল বেঁধে, কিংবা সপরিবারে ঘুরতে যাওয়ার পাশাপাশি ইদানিং একা একা ঘুরতে যাওয়ার চল শুরু হয়েছে। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের কাছে সলো ট্রাভেল বা একলা ভ্রমণ বেশ জনপ্রিয়। এখনকার উঠতী তরুণ-তরুণীরা দলবেধে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে ঘোরাঘুরির পাশাপাশি নিজে নিজে জিনিসপত্র গুছিয়ে কয়েক দিনের জন্য কোথাও বের হয়ে মনের সাধ মিটিয়ে ঘুরে আসতে পছন্দ করে। কিন্তু এ কথা সত্যিই যে একা কোথাও ঘুরতে গেলে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হয়।
অনেক ঝামেলার মুখোমুখি হওয়া লাগতে পারে। বিশেষ করে যিনি যাচ্ছেন তিনি যদি নারী হন তবে নিজের সুরক্ষার বিষয়ে তাকে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হয়। ফলে এই সমস্ত অসুবিধার কথা চিন্তা করে বেশির ভাগ মানুষই একলা ভ্রমণ করার পরিকল্পনা বিসর্জন দেয়। তবে একা ঘুরতে যাওয়ার যেমন নেতিবাচক দিক আছে তেমনি ইতিবাচব দিকও আছে। আসুন সেই সব ইতিবাচক দিকের দিকে মনোযোগ দেয়া যাক।
(১) মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে,একা ঘুরতে গেলে নিজের সঙ্গে বেশি সময় কাটানো যায়। কারণ এখনকার ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে তাল মিলাতে গিয়ে আমদের ক্রমশ নিজের সঙ্গে আত্মিক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে দেখা যায় একটা আমরা অবসাদ গ্রস্ত হয়ে পড়ছি। কাজেকর্মে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছি। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে মাঝে মধ্যে একা ঘুরতে যাওয়া উচিত।
২) একা ঘুরতে গেলে স্বাধীন ভাবে কিছুটা সময় কাটানো যায়। মানুষ হয়ে ওঠে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। অনুকূল-প্রতিকূল সব পরিস্থিতি একা সামলানোর চেষ্টা করতে করতে নিজের মধ্যে হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরে আসে।
(৩) বিভিন্ন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা সম্ভব হয় একলা ভ্রমণে। ভ্রমণ পথে ঘটে যাওয়া ছোট-বড় নানান ঘটনা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতে পারে। আর এই ধরনের অভিজ্ঞতা আমাদের সারা জীবনের সঞ্চয় হয়ে থাকে।
(৪) ভ্রমণে নানা জায়গার মানুষজনের সঙ্গে পরিচয় হয়। একই ভাবে সুযোগ হয় খাবার, পোশাক, গান-বাজনাসহ বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার। একলা ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে এই সমস্ত বিষয় যতটা অনুভব করা সম্ভব হয় ততটা হয়তো একসঙ্গে অনেকে মিলে ঘুরে গেলে হয় না।